এবিএনএ: বাংলাদেশের হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র এবং অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখার জন্য লড়াই করছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একই সঙ্গে এই লড়াইকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথাও জানান তিনি। আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, মীর সরফত আলী সপু, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, আমিনুল হক, আমিনুল ইসলামসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা আজও বাংলাদেশের হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র ও বাংলাদেশকে ফিরে পাওয়ার জন্য এবং অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখার জন্য লড়াই করছি। আমাদের নেতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি ও দেশনায়ক তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা এবং ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর মামলা থেকে মুক্তি এবং সমৃদ্ধ অর্থনীতির জন্য লড়াই করছি। এই লড়াইকে আমরা আরও এগিয়ে নেব।’
তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সৈনিক জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যিনি আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা তাকে মুক্ত করে নতুনভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। এজন্যই এই দিনটি দেশের মানুষের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ’
৭ নভেম্বর শুধু দিবস নয় উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এটি দেশের মানুষের কাছে ছিল যুদ্ধপরবর্তী স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে সুসংহত করার দিন। বাংলাদেশের শত্রুদের পরাজিত করে দেশপ্রেকি সৈনিক জনতা বাংলাদেশকে রক্ষা করবার মূলমন্ত্রে সেদিন উজ্জীবিত হয়েছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা পরবর্তী সময়ে ভয়াবহ একদলীয় শাসন ব্যবস্থা দেখেছি। সেটাকে পরিবর্তন করে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়েছে। আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নতুন অর্থনৈতিক ধারা চালু হয়েছিল। মুক্ত অর্থনীতির ধারা চালু হয়। একই সঙ্গে জিয়াউর রহমানের জাতীয়তাবাদী দর্শন দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। ’
‘আজকের দিনে আমাদের শপথ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা, দেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা এবং একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা,’ যোগ করেন ফখরুল।
৭ নভেম্বরকে ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালন করে বিএনপি। এ উপলক্ষে বিএনপি ও তার বিভিন্ন অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠন দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন ও মোনাজাত করেন।
দিবসটি উপলক্ষে ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল, মৎস্যজীবী দল, জাসাস, কৃষকদল, শ্রমিক দল, ওলামা দল, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন, ইউট্যাব, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব), ইউট্যাবসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষে জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এ সময় উল্লেখযোগ্য নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, আব্দুল মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানী, রাজীব আহসান, নাজমুল হাসান, মৎস্যজীবী দলের রফিকুল ইসলাম মাহাতাব, আব্দুর রহিম, কৃষকদলের হাসান জাফির তুহিন, মোশাররফ হোসেন এমপি, ওলামা দলের শাহ মোহাম্মদ নেছারুল হক, নজরুল ইসলাম তালুকদার, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, মহিলা দলের হেলেন জেরিন খান, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, ড্যাবের অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ, ডা. আব্দুস সালাম, ইউট্যাবের অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, ছাত্রদলের কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবন।